Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বারিতে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন


প্রকাশন তারিখ : 2016-09-19

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)এর কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে বিএআরআই’র কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে ৯ দিনব্যাপী (১৮-২৬ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষিই অর্থনীতির মূলভিত্তি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। কৃষি বিজ্ঞানীদের নব নব আবিষ্কারের ফলেই এ সাফল্য এসেছে। তিন বছরের কৃষিতে ভালো ফলাফলের কারনেই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেরেস পদক পেয়েছেন। হাইব্রিড ও জিএমও খাদ্যের ব্যাপারে সবাইকে আরো উদার ও বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। তিনি দেশীয় জাতসমূহের ফলন বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞানীদের বলেন এবং ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অধিক গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলি খাবারের জন্য, পেটের ক্ষুধা নিবৃতির জন্য সেটা আমরা নিজেরা উৎপাদন করব। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। যখনই শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখনই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। ৯৮-এর বন্যার পর বিবিসি থেকে বলা হয়েছিল ২ কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে দুইটা পিপড়াও মারা যায় নাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের ওপর সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন বারির মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল। পরে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন। কর্মশালায় বারির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ তাদের বিগত সময়ের গবেষণার ফলাফল ও ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ মো. আব্দুল মান্নান এমপি।

এই কর্মশালায় সারা দেশ থেকে আগত কৃষি বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীগণ অংশগ্রহণ করেন। গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালাটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আঞ্চলিক গবেষণা পর্যালোচনা, অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা। প্রথমে আঞ্চলিক পরে অভ্যন্তরীণ ও সবশেষে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার মাধ্যমে গত বছরের গবেষণা কার্যাবলীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরবর্তী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন পর্যায়ের এই কর্মশালা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষক প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আঞ্চলিক কৃষির সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সেই আলোকে গবেষণা কার্যক্রম প্রণীত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ফসলের ৪৭১টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৫২টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ যাবত ৯০০টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থবছরে যেসব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় সেগুলোর মূল্যায়ন ও এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় বারির অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বারির পরিচালকবৃন্দ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।